Connect with us

ওটিটি

২০২৩ সালের জনপ্রিয় ৫ ওয়েব সিরিজ

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য ২০২৩ সাল ছিলো এককথায় দারুণ। গত বছর বেশকিছু ওয়েব সিরিজ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কয়েকটি সিরিজ ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি, বিঞ্জ, বঙ্গ এবং আইস্ক্রিন দর্শকনন্দিত কাজ উপহার দিয়েছে। এছাড়া কলকাতার ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে বাংলাদেশি অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতাদের সিরিজ ছিলো চোখে পড়ার মতো।

‘মহানগর ২’ ওয়েব সিরিজে মোশাররফ করিম (ছবি: হইচই)

জনপ্রিয় ৫ ওয়েব সিরিজ
১. মহানগর ২
হইচইয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে আশফাক নিপুন পরিচালিত ৯ পর্বের ওয়েব সিরিজ ‘মহানগর ২’। এটি ‘মহানগর’ (২০২১) ওয়েব সিরিজের সিক্যুয়েল। এতে ওসি হারুন চরিত্রে যথারীতি অনবদ্য অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। তার সহশিল্পীরা হলেন জাকিয়া বারী মম, শ্যামল মাওলা, ফজলুর রহমান বাবু, আফসানা মিমি ও দিব্য জ্যোতি।

‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ ওয়েব সিরিজে নাসিরউদ্দিন খান (ছবি: চরকি)

২. মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন
চরকিতে মুক্তিপ্রাপ্ত শিহাব শাহীনের ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ ২০২৩ সালের ব্যাপক জনপ্রিয় সাত পর্বের ওয়েব সিরিজ। এটি ‘সিন্ডিকেট’ (২০২২) ওয়েব সিরিজের প্রিক্যুয়েল। এতে চট্টগ্রামের মাদক ব্যবসায়ী অ্যালেন স্বপন চরিত্রে যথারীতি দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন নাসিরউদ্দিন খান। অ্যালেন স্বপনের স্ত্রীর চরিত্রে দেখা গেছে রাফিয়াত রশিদ মিথিলাকে।

‘আমি কী তুমি?’ ওয়েব সিরিজের অভিনয়শিল্পীরা (ছবি: আইস্ক্রিন)

৩. আমি কী তুমি?
চ্যানেল আইয়ের স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে মুক্তি পায় আট পর্বের ওয়েব সিরিজ ‘আমি কী তুমি?’। ভিকি জাহেদের পরিচালনায় এতে তিথি চরিত্রে প্রশংসা কুড়িয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। এতে আরো অভিনয় করেছেন জুনায়েদ বোগদাদি, শ্যামল মাওলা, ফজলুর রহমান বাবু, তারিক আনাম খান, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, ইন্তেখাব দিনার, আবদুল্লাহ আল সেন্টু। ‘আমি কী তুমি?’র মাধ্যমে প্রথমবার ওটিটির জন্য কাজ করেছেন সাদিয়া ইসলাম মৌ।

(বাঁ থেকে) বিজরী বরকতউল্লাহ, শ্যামল মাওলা, মেহজাবীন চৌধুরী ও আজিজুল হাকিম (ছবি: বিঞ্জ)

৪. দ্য সাইলেন্স
ভিকি জাহেদের পরিচালনায় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর আরেকটি জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘দ্য সাইলেন্স’। এতে রুবি চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। ছয় পর্বের এই সিরিজ মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জে। এতে আরো অভিনয় করেছেন শ্যামল মাওলা, আজিজুল হাকিম, বিজরী বরকতউল্লাহ ও অনিন্দিতা মিমি। বিশেষ চরিত্রে প্রশংসিত হয়েছেন সজল নূর।

‘গুটি’র দৃশ্যে আজমেরী হক বাঁধন ও শাহরিয়ার নাজিম জয়

‘গুটি’র দৃশ্যে আজমেরী হক বাঁধন ও শাহরিয়ার নাজিম জয় (ছবি: চরকি)

৫. গুটি
চরকিতে মুক্তিপ্রাপ্ত সাত পর্বের ওয়েব সিরিজ ‘গুটি’তে মাদক পাচারকারী সুলতানা চরিত্রে দারুণ অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন আজমেরী হক বাঁধন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রথমবার কাজ করেন তিনি। শঙ্খ দাশগুপ্তের পরিচালনায় এতে আরো অভিনয় করেছেন শাহরিয়ার নাজিম জয়, মৌসুমী হামিদ, নাসিরউদ্দিন খান ও শরীফ সিরাজ।

‘বুকের মধ্যে আগুন’ সিরিজে জিয়াউল ফারুক অপূর্ব (ছবি: হইচই)

আলোচিত ৫ সিরিজ
১. বুকের মধ্যে আগুন
হইচইয়ে মুক্তিপ্রাপ্ত আট পর্বের ওয়েব সিরিজ ‘বুকের মধ্যে আগুন’ ভীষণ আলোচিত হয়েছে। অমর নায়ক সালমান শাহের অপমৃত্যুর ঘটনা অবলম্বনে এটি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁর পরিবার। তবে পরিচালক তানিম রহমান অংশু সেটি স্বীকার করেননি। সিরিজটিতে অভিনয় করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, ইয়াশ রোহান, তমা মির্জা, শাহনাজ সুমি, তানিয়া আহমেদ, তারিক আনাম খান, তৌকীর আহমেদ ও দিলরুবা দোয়েল।

‘সাড়ে ষোল’ সিরিজে আফরান নিশো (ছবি: হইচই)

২. সাড়ে ষোল
হইচইয়ের আরেকটি আলোচিত ছয় পর্বের ওয়েব সিরিজ ‘সাড়ে ষোল’। এতে আইনজীবী আশফাক রেজা চরিত্রে অভিনয় করেন আফরান নিশো। ‘কাইজার’ ওয়েব সিরিজের পর ‘সাড়ে ষোল’র মাধ্যমে আবার হইচইয়ে দেখা গেছে তাকে। ইয়াছির আল হকের পরিচালনায় এতে আরো অভিনয় করেন ইন্তেখাব দিনার, জাকিয়া বারী মম, ইমতিয়াজ বর্ষণ, আফিয়া তাবাসসুম বর্ণ ও শাহেদ আলী।

‘অদৃশ্য’ ওয়েব সিরিজে মাহফুজ আহমেদ ও অপি করিম (ছবি: হইচই)

৩. অদৃশ্য
হইচইয়ের আট পর্বের ওয়েব সিরিজ ‘অদৃশ্য’ দিয়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে অভিনেতা মাহফুজ আহমেদের অভিষেক হয়েছে। এতে স্বনামধন্য ব্যবসায়ী আনিস আহমেদ চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। তার স্ত্রী রিজওয়ানা আহমেদ চরিত্রে দেখা যায় অপি করিমকে। হইচইয়ে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ঢাকা মেট্রো’র (২০১৯) চার বছর পর ওটিটির জন্য কাজ করলেন এই অভিনেত্রী। ওটিটিতে এটাই জুটি হয়ে মাহফুজ ও অপির প্রথম কাজ। ‘অদৃশ্য’ শাফায়েত মনসুর রানা পরিচালিত প্রথম ওয়েব সিরিজ। এতে আরো অভিনয় করেছেন শম্পা রেজা, শহীদুজ্জামান সেলিম, সুমন আনোয়ার, নিশাত প্রিয়ম, শাহাদাত হোসেন ও মনির আহমেদ শাকিল।

‘মারকিউলিস’ ওয়েব সিরিজে সাবিলা নূর (ছবি: চরকি)

৪. মারকিউলিস
চরকিতে মুক্তিপ্রাপ্ত আট পর্বের ওয়েব সিরিজ ‘মারকিউলিস’ দারুণভাবে আলোচিত হয়েছে। এতে জয়িতা চরিত্রে অভিনয় করেন সাবিলা নূর। এটাই তার অভিনীত প্রথম ওয়েব সিরিজ। আবু শাহেদ ইমন পরিচালিত প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘মারকিউলিস’। সত্যি ঘটনা অবলম্বনে সাসপেন্স-রহস্য ধাঁচের এই ওয়েব সিরিজে আরো অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, রওনক হাসান, ইরেশ যাকের, রাশেদ মামুন অপু, শরীফ সিরাজ, আফিয়া তাবাসসুম বর্ণ, আইশা খান, নাজিবা বাশার, পৌষালী অথৈ, সাবেরী আলম, মিলি বাশার, নাফিস আহমেদ, মাজনুন মিজান ও অশোক বেপারী।

‘হোটেল রিলাক্স’ ওয়েব সিরিজের দৃশ্য (ছবি: ফেসবুক)

৫. হোটেল রিল্যাক্স
বঙ্গতে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হোটেল রিল্যাক্স’ কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত প্রথম ওয়েব সিরিজ। ফলে এটি আলোচনায় ছিলো গত বছর। এতে পুলিশ চরিত্রে দেখা গেছে চিত্রনায়িকা পূর্ণিমাকে। অমির ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের প্রায় সব অভিনয়শিল্পীরা কাজ করেছেন ছয় পর্বের এই ওয়েব সিরিজে। তারা হলেন জিয়াউল হক পলাশ, মারজুক রাসেল, মিশু সাব্বির, পারসা ইভানা, শিমুল শর্মা, লামিমা লাম, চাষী আলম, সাইদুর রহমান পাভেল, শরাফ আহমেদ জীবন, এরফান মৃধা শিবলু, সুমন পাটোয়ারি ও মুসাফির সাঈদ বাচ্চু।

‘মিশন হান্টডাউন’ ওয়েব সিরিজে বিদ্যা সিনহা মিম (ছবি: হইচই)

অন্যান্য ওয়েব সিরিজ
* মিশন হান্টডাউন (পরিচালক: সানী সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদ, অভিনয়ে বিদ্যা সিনহা মিম, এফএস নাঈম; ওটিটি প্ল্যাটফর্ম: হইচই)

* মোবারকনামা (পরিচালক: গোলাম সোহরাব দোদুল, অভিনয়ে মোশাররফ করিম, নওরীন হাসান জেনি, শবনম ফারিয়া ও শাহনাজ সুমি; ওটিটি প্ল্যাটফর্ম: হইচই)

* অগোচরা (পরিচালক: সিদ্দিক আহমেদ, অভিনয়ে ফজলুর রহমান বাবু, ইন্তেখাব দিনার, জাকিয়া বারী মম, মোরশেদ মিশু, শরাফ আহমেদ জীবন, রাকিব হোসেন ইভন, আলী ওয়াহাব সৌহার্দ্য; ওটিটি প্ল্যাটফর্ম: বিঞ্জ)

* ইনফিনিটি ২ (পরিচালক: মেহেদী হাসিব, অভিনয়ে শরিফুল রাজ, মুমতাহিনা টয়া, সজল নূর, সামিয়া অথৈ; ওটিটি প্ল্যাটফর্ম: বিঞ্জ)

* ইন্টার্নশিপ (পরিচালক: রেজাউর রহমান, অভিনয়ে সৌম্য জ্যোতি, সাদিয়া আইমান, সারাহ আলম, সাঈদা তাসলিমা হাসান নদী, মাখনুন সুলতানা মাহিমা, শম্পা রেজা, মোরশেদ মিশু; ওটিটি প্ল্যাটফর্ম: চরকি)

* ওভারট্রাম্প (পরিচালক: বাশার জর্জিস, অভিনয়ে চঞ্চল চৌধুরী, মোস্তফা মনওয়ার, আশনা হাবিব ভাবনা, এফ এস নাঈম, শরীফ সিরাজ, সামিরা খান মাহি, মীর নওফেল আশরাফী জিসান; ওটিটি প্ল্যাটফর্ম: চরকি)

* ভাইরাস (পরিচালক: অনম বিশ্বাস, অভিনয়ে শ্যামল মাওলা, তারিক আনাম খান, রাশেদ মামুন অপু, গোলাম ফরিদা ছন্দা, শরীফ সিরাজ; ওটিটি প্ল্যাটফর্ম: চরকি)

* প্রচলিত (পরিচালক: মো. আবিদ মল্লিক, অভিনয়ে মোস্তফা মনওয়ার; ওটিটি প্ল্যাটফর্ম: চরকি)

* সদরঘাটের টাইগার (পরিচালক: সুমন আনোয়ার, অভিনয়ে শ্যামল মাওলা, ফারহানা হামিদ, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম: বিঞ্জ)

ওটিটি

চাঁদরাতে ফারুকীর ‘মনোগামী’, চঞ্চল-জেফারের খেয়ালি কিংবা বেখেয়ালি ভালোবাসার আভাস

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’তে জেফার রহমান ও চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: চরকি)

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’ মুক্তি পাচ্ছে চাঁদরাতে। ইতোমধ্যে এর দুটি টিজার এবং একটি গান এসেছে। এগুলোতে রয়েছে খেয়ালি কিংবা বেখেয়ালি ভালোবাসার আভাস। ওয়েব ফিল্মটিতে মধ্যবয়সী একজনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। তার সঙ্গে থাকছেন সংগীতশিল্পী জেফার রহমান। এবারই প্রথম অভিনয়ে নাম লিখিয়েছেন এই গায়িকা। 

১৫ সেকেন্ডের একটি দৃশ্যে দেখা যায়, একটি অফিসে সোফায় বসে আছেন চঞ্চল। সামনে দিয়ে শাড়ি পরা জেফার হেঁটে যান। সেদিকে চোখ আটকে থাকে ভদ্রলোকের। তিনি একদৃষ্টিতে তাকিয়ে মেয়েটিকে দেখার আশায় ধীরে ধীরে সামনে আসতে থাকেন। খেয়াল না থাকায় হঠাৎ তার মাথার সঙ্গে কাচের দেয়ালের গুঁতো লাগে!

এরপর ২৪ সেকেন্ডের আরেকটি দৃশ্য প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা যায়, লিফটে দাঁড়িয়ে আছেন চঞ্চল। এরপর জেফার ভেতরে আসতেই তিনি অন্যদিকে ফিরে থাকেন। নভোচারীর মতো লিফটে ওপরে উঠছেন তারা। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের লিফটযাত্রা যেন তাদের কাছে মহাকাশযাত্রার মতো দীর্ঘ ও অস্বস্তিকর লাগছে!

টিজার দুটি দেখে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, দর্শকদের জন্য পেট ভরে হাসার রসদ আছে ‘মনোগামী’তে। তবে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, এতে একটি আবেগপ্রবণ দিকও আছে! সেই দিকটি তুলে ধরতে রয়েছে একটি গান। এর শিরোনাম ‘মানুষ কেনো এরকম’। এটি লিখেছেন, সুর করেছেন ও গেয়েছেন আহমেদ হাসান সানি। সংগীতায়োজনে পাভেল আরীন।

চাঁদরাতে মুক্তি উপলক্ষে গতকাল ঢাকার গুলশানে একটি রেস্তোরাঁয় সমবেত হন ‘মনোগামী’র পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।

(বাঁ থেকে) জেফার রহমান, চঞ্চল চৌধুরী, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নুসরাত ইমরোজ তিশা ও রেদওয়ান রনি (ছবি: চরকি)

গত ২৩ মার্চ ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র প্রথম পোস্টার প্রকাশিত হয়। এতে দেখা যায়, চঞ্চল চৌধুরীর ছবি স্বাভাবিক, তবে জেফারের ছবি উল্টো। পোস্টারের নিচের দিকে লেখা– ‘এক সময়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহিত জীবন যাপনের প্রথা; একবিবাহি, একগামিতা।’

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র পোস্টারে জেফার রহমান ও চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: চরকি)

‘মনোগামী’র লামিয়া চরিত্রে জেফারকে নির্বাচন করা প্রসঙ্গে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানান, নতুন মুখের কাউকে খুঁজছিলেন তিনি। জেফারের ‘ঝুমকা’ গানটি নিয়মিত না শুনলে খাবার খায় না তার মেয়ে ইলহাম! ফারুকী একদিন খেয়াল করে দেখলেন, লামিয়া চরিত্রে জেফার মানিয়ে যায়। ‘মনোগামী’তে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে অবাক হন তিনি।

জেফার রহমান (ছবি: চরকি)

জেফারের কথায়, ‘ফারুকী ভাইয়ের সিনেমা ও চঞ্চল ভাইয়ের বিপরীতে অভিনয় করতে হবে, সব মিলিয়ে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। ফারুকী ভাই আমাকে চুলের স্টাইল পরিবর্তন করতে বলায় আরও টেনশনে পড়ে যাই। ১৪ বছর ধরে আমার চুলের স্টাইল একই রকম। ফারুকী ভাইয়ের ওপর বিশ্বাস রেখে সব করেছি।’

চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে শুদ্ধ (ছবি: চরকি)

ওয়েব ফিল্মটিতে চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে অভিনয় করেছে তার ছেলে শুদ্ধ। বাবা-ছেলের চরিত্রেই দেখা যাবে তাদের। এটাই শুদ্ধের প্রথম ফিল্ম। সে বলেছে, ‘বাবার শুটিংয়ে অনেকবার গিয়েছি। এবার নিজের শুটিংয়ে গিয়ে খুব নার্ভাস লেগেছিলো। শুটিংয়ের আগের দিন সারারাত ঘুমাতে পারিনি। বাবার সঙ্গে অভিনয় করে খুব আনন্দ লেগেছে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর এই ওয়েব ফিল্মে কাজ করা আমার জন্য অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।’

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’তে রাই, চঞ্চল চৌধুরী ও সামিনা হোসেন প্রেমা (ছবি: চরকি)

‘মনোগামী’র আরেকটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন নৃত্যশিল্পী সামিনা হোসেন প্রেমা। জেফারের মতো তারও অভিনয়ে অভিষেক হচ্ছে। প্রেমার কন্যা রাই পর্দায় তার মেয়ে হিসেবে থাকছে। ওয়েব ফিল্মটির একটি অংশের শুটিং হয়েছে মেট্রোরেলেই। ভিশন ইলেক্ট্রনিকসের নিবেদনে এবারের ঈদুল ফিতরে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’।

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’তে জেফার রহমান (ছবি: চরকি)

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র নির্মাণ ভাবনা প্রসঙ্গে ফারুকী বলেন, “আমার প্রিয় একটি কাজ হচ্ছে মানুষের মনের ভেতর ছিপ ফেলে দেখা কী কী ধরা পড়ে সেখানে। ছোট-বড়, তুচ্ছ-গুরুত্বপূর্ণ সবই আমাকে নাড়া দেয়। ‘মনোগামী’তে অনেকদিন পরে নারী-পুরুষ সম্পর্কের কিছু দিক নিয়ে এই রকম ছিপ ফেলার সুযোগ পেয়েছি। গল্পটি আমাদের মনের অলিগলিতে ঘুরে বেড়ায়। ফলে এটি হাস্যরস, আবেগ আবার কখনো ট্র্যাজেডির রঙ ধারণ করে, অনেকটা আমাদের জীবনের মতোই!”

ফারুকী যোগ করেন, “ব্যাচেলর জীবনের কিছু দিক কোনো রকম রাখঢাক ছাড়াই ‘ব্যাচেলর’ সিনেমায় দেখাতে পেরেছি। এবারের ফিল্মে বিবাহিত ও প্রবাহিত জীবনের কিছু দিক দেখানোর সুযোগ পেয়েছি।”

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’তে চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: চরকি)

ফারুকীর প্রতিষ্ঠান ছবিয়ালের নতুন প্রযোজনা ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’ হলো চরকির ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রকল্পের অংশ। এর আওতায় রয়েছে ১২টি ওয়েব ফিল্ম। এরমধ্যে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ ও শিহাব শাহীনের ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ মুক্তি পেয়েছে। ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রকল্পের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’তে জেফার রহমান (ছবি: চরকি)

চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, “দেখতে দেখতে মিনিস্ট্রি অব লাভ প্রকল্পের তৃতীয় সিনেমা মুক্তির পথে। প্রথম দুটি সিনেমা দর্শকেরা পছন্দ করেছেন। আশা করছি, দর্শক এবার মনোগামীর মধ্য দিয়ে আগের ফারুকী ভাইয়ের নির্মাণ খুঁজে পাবেন।”

পড়া চালিয়ে যান

ওটিটি

প্রথমবার ওয়েব সিরিজে জয়া আহসান, বানাবেন আশফাক নিপুন

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

জয়া আহসান ও আশফাক নিপুন (ছবি: ফেসবুক)

দুই বাংলার নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান প্রথমবার ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন। এর নাম ‘জিম্মি’। এটি বানাবেন আশফাক নিপুন। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে উপভোগ করা যাবে এই কন্টেন্ট।

টাকার গ্রাফিক্স দিয়ে তৈরি হয়েছে ‘জিম্মি’র টাইটেল। জিম্মির সঙ্গে টাকার সম্পর্ক থাকা স্বাভাবিক। গল্পে দেখা যাবে, সরকারি নিম্নপদস্থ কর্মচারী একজন নারী ১০ বছর ধরে কোনো প্রমোশন পায় না। স্বামী-স্ত্রীর টানাটানির সংসার। উচ্চাকাঙ্ক্ষী এই নারী একদিন অফিসের স্টোররুমে বড় অঙ্কের টাকার বাক্স পায়। হঠাৎ পাওয়া টাকা নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন। শেষ পর্যন্ত লোভের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে সে।

জয়া আহসান (ছবি: ফেসবুক)

সোশ্যাল মিডিয়ায় ওয়েব সিরিজ ঘোষণার ভিডিও শেয়ার দিয়ে জয়া আহসান লিখেছেন, ‌‘শুধু এটুকু বলতে পারি, বানাবেন আশফাক নিপুন। আর বাকিটা… ক্রমশ প্রকাশ্য!’

আশফাক নিপুন (ছবি: ফেসবুক)

‘জিম্মি’সহ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই ২০২৪ সালের জন্য নতুন ছয়টি ওয়েব সিরিজের ঘোষণা দিয়েছে। আজ (২৬ মার্চ) ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত ‘হইচই মিট ২০২৪’ (গল্পের নতুন অধ্যায়) শীর্ষক ভিডিওতে এগুলোর নাম, পরিচালক ও প্রধান চরিত্রের অভিনয়শিল্পীদের নাম জানানো হয়েছে।

‘গল্পের নতুন অধ্যায়’ ভিডিওতে ঘোষিত ছয় ওয়েব সিরিজের দুটি পরিচালনা করছেন ভিকি জাহেদ। এরমধ্যে দুর্ঘটনায় দৃষ্টিশক্তি হারানো সিআইডি কর্মকর্তার গল্প নিয়ে সাজানো ‘রুমি’তে নাম ভূমিকায় থাকছেন চঞ্চল চৌধুরী। অন্যদিকে ‘মিথ্যাবাদী’তে অভিনয় করছেন মেহজাবীন চৌধুরী। সিরিজটির গল্পে দেখা যাবে, স্বামীর প্রতি শতভাগ বিশ্বস্ত স্ত্রী। কিন্তু মা হওয়ার চার বছর পর সে জানতে পারে তার স্বামী সন্তান জন্মদানে সম্পূর্ণভাবে অক্ষম। স্ত্রীর মনে প্রশ্ন, তাহলে তার সন্তান কার! সন্দেহের বশীভূত হয়ে শ্বশুর ও ভাসুরের বিরুদ্ধে মামলা করে সে।

অনম বিশ্বাসের ‘রঙিলা কিতাব’-এ থাকছেন পরীমণি। বরিশালের একটি ছোট শহরের গ্যাংস্টার প্রদীপ প্রথমবারের মতো বাবা হতে যাচ্ছে জানার পরে তার অপরাধ জীবনকে বিদায় বলার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে পরের দিনই স্থানীয় এমপিকে হত্যার ঘটনায় অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত হয় প্রদীপ। তারপর থেকে পালিয়ে বেড়ায় প্রদীপ। এখন তার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব নিজেকে এবং তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পুলিশ ও অজানা বিপদ থেকে রক্ষা করা।

অমিতাভ রেজা চৌধুরীর পরিচালনায় ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া (আট মানে Not)’ সিরিজে প্রধান চরিত্রে থাকছেন মোশাররফ করিম। এতে ট্রাক ড্রাইভার আব্বাস চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। সে দুর্দান্ত প্রেমিক মানুষ। সাত জেলায় থাকা সাত বউকে একে অপরের কাছ থেকে গোপন রেখে সে সুনিপুণভাবে সাত সংসার সামলায়। এদিকে একজন বৃদ্ধের সঙ্গে বিয়ে হওয়া থেকে সদ্য যুবতী সুন্দরীকে বাঁচানোর পর সুন্দরী আব্বাসের প্রেমে পড়ে ও তাকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু আব্বাস জানে আট মানে সর্বনাশ তাই সুন্দরীকে বিয়ে করতে না চাইলেও একপ্রকার বাধ্য হয়ে বিয়ে করতে হয় তাকে। এরপর শুরু হয় গণ্ডগোল। আব্বাসের সাত সংসারে শুরু হয় বিভিন্ন রকম ঝামেলা।

হইচইয়ের ‘বুকের মধ্যে আগুন’ সিরিজের জনপ্রিয় চরিত্র গোলাম মামুন হয়ে ফিরছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। ‘গোলাম মামুন’ নামের সিরিজটির গল্পে দেখা যাবে, নিজের আততায়ীকে খুনের দায়ে আটক হয় মামুন, সেই সঙ্গে বন্ধু দম্পতির খুনেও জড়িয়ে যায় তার নাম। আইনরক্ষক মামুনকে আইন ভেঙে পুলিশের হাত থেকে পালাতে হয় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে। কিন্তু বাইরে অপেক্ষা করছে আরো বড় বিপদ। ‘বুকের মধ্যে আগুন’ তানিম রহমান অংশু পরিচালনা করলেও ‘গোলাম মামুন’ বানাচ্ছেন শিহাব শাহীন।

প্রতিবছর বাংলাদেশি কন্টেন্টের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা উদযাপনের জন্য আয়োজন করা হয় ‘হইচই মিট’। এর মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের কনটেন্ট এবং প্রতিভাবান শিল্পীদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে হইচই।

এ প্রসঙ্গে হইচই বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাকিব আর খান বলেন, “হইচই বাংলাদেশ ২০১৯ সালে ‘ঢাকা মেট্রো’ সিরিজ দিয়ে যাত্রা শুরু করে। এরপর আরো ১৮টি সিরিজ মুক্তি পেয়েছে এতে, যেগুলো বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হয়েছে। একটি ব্র্যান্ড হিসেবে হইচইয়ের লক্ষ্য সারা পৃথিবীতে বাংলা ভাষায় কথা বলা মানুষের কাছে নিজেদের ভাষায় মানসম্মত বিনোদন পৌঁছে দেওয়া। দর্শকদের জন্য হইচই সহজলভ্য করতে আমরা ইতোমধ্যে গ্রামীণফোন, রবি এবং বাংলালিংকের সঙ্গে একাত্ম হয়েছি। পাশাপাশি আমরা দর্শকদের জন্য পছন্দসই কনটেন্ট নির্মাণের উদ্দেশে বাংলাদেশের খ্যাতিমান নির্মাতা এবং অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা এ বছর ছয়টি কন্টেন্টের ঘোষণা দিচ্ছি এবং ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরো বাড়বে।”

পড়া চালিয়ে যান

ওটিটি

ওলট-পালট চঞ্চল-জেফার, ঈদে ফারুকীর ‘মনোগামী’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র দৃশ্যে চঞ্চল চৌধুরী ও জেফার রহমান (ছবি: চরকি)

ঈদে ‘ইদানীং’-এর সম্পর্ক নিয়ে আসছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’। ওয়েব ফিল্মটিতে মধ্যবয়সী একজনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। তার সঙ্গে থাকছেন সংগীতশিল্পী জেফার রহমান। এবারই প্রথম অভিনয়ে নাম লিখিয়েছেন এই গায়িকা।

গতকাল (২৩ মার্চ) ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র প্রথম পোস্টার প্রকাশিত হয়েছে। এতে চঞ্চল চৌধুরীর ছবি স্বাভাবিক, তবে জেফারের ছবি উল্টো। পোস্টারের নিচের দিকে লেখা– ‘এক সময়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহিত জীবন যাপনের প্রথা; একবিবাহি, একগামিতা।’

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র পোস্টারে জেফার রহমান ও চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: চরকি)

অভিনয় প্রসঙ্গে জেফার বলেন, ‘একজন সংগীতশিল্পী হিসেবে মিউজিক ভিডিওর মাধ্যমে দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছি। তবে এবার অভিনেত্রী হিসেবে দেখা যাবে আমাকে। আমার জন্য ঘটনাটি নিঃসন্দেহে আনন্দের, তবে চ্যালেঞ্জিংও বটে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালনায় অভিনয় করা এবং সহশিল্পী হিসেবে চঞ্চল চৌধুরীকে পাওয়া বলা যায় কিছুটা চাপের এবং একইসঙ্গে রোমাঞ্চকর।’

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র দৃশ্যে জেফার রহমান (ছবি: চরকি)

জেফারকে দিয়ে অভিনয় করানো প্রসঙ্গে ফারুকীর মন্তব্য, ‘জেফার গানের লোক। এটাই তার প্রথম অভিনয়। তাকে পাওয়ার ফলে ফিল্মের গল্প প্রাণবন্ত হয়েছে।’

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র দৃশ্যে চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: চরকি)

চঞ্চলের ব্যাপারে ফারুকীর মন্তব্য, ‘আমাদের একসঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা বহু পুরনো। এখনো একই রকম অপ্রতিরোধ্য তিনি। চঞ্চল ভাই তার দুর্দান্ত কারিশমা দিয়ে বিচিত্র মুহূর্তগুলোকে জলবৎ তরলং করে দিয়েছেন।’

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র দৃশ্যে চঞ্চল চৌধুরী ও জেফার রহমান (ছবি: চরকি)

চঞ্চলের কথায়, ‘২০০৫ সালে ফারুকী ভাইয়ের নির্দেশনায় একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করার মাধ্যমে আমার ক্যারিয়ার ঘুরে যায়। তার সঙ্গে প্রায় ২০ বছরের কাজের সম্পর্ক। ফারুকী ভাইয়ের সব গল্পে আলাদা মাত্রা থাকে। এবারের ফিল্মে দর্শকদের ভাবানোর মতো কিছু মনস্তাত্ত্বিক দিক আছে। নতুন নতুন চরিত্র খুঁজে বেড়ানো আমার নেশা। তাই এতে আমার চরিত্রের লুক, গেট-আপ যথারীতি ভিন্ন।’

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী (ছবি: চরকি)

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র নির্মাণ ভাবনা প্রসঙ্গে ফারুকী বলেন, “আমার প্রিয় একটি কাজ হচ্ছে মানুষের মনের ভেতর ছিপ ফেলে দেখা কী কী ধরা পড়ে সেখানে। ছোট-বড়, তুচ্ছ-গুরুত্বপূর্ণ সবই আমাকে নাড়া দেয়। ‘মনোগামী’তে অনেকদিন পরে নারী-পুরুষ সম্পর্কের কিছু দিক নিয়ে এই রকম ছিপ ফেলার সুযোগ পেয়েছি। গল্পটি আমাদের মনের অলিগলিতে ঘুরে বেড়ায়। ফলে এটি হাস্যরস, আবেগ আবার কখনো ট্র্যাজেডির রঙ ধারণ করে, অনেকটা আমাদের জীবনের মতোই!”

ফারুকী যোগ করেন, “ব্যাচেলর জীবনের কিছু দিক কোনো রকম রাখঢাক ছাড়াই ‘ব্যাচেলর’ সিনেমায় দেখাতে পেরেছি। এবারের ফিল্মে বিবাহিত ও প্রবাহিত জীবনের কিছু দিক দেখানোর সুযোগ পেয়েছি।”

‘লাস্ট ডিফেন্ডার অব মনোগামী’র দৃশ্যে জেফার রহমান (ছবি: চরকি)

ভিশন ইলেক্ট্রনিকসের নিবেদনে ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’। এতে আরো অভিনয় করেছেন নৃত্যশিল্পী সামিনা হোসেন প্রেমা। তারও অভিনয়ে অভিষেক হচ্ছে।

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র দৃশ্যে জেফার রহমান (ছবি: চরকি)

ফারুকীর প্রতিষ্ঠান ছবিয়ালের নতুন প্রযোজনা ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’ হলো ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রকল্পের অংশ। এর আওতায় রয়েছে ১২টি ওয়েব ফিল্ম। এরমধ্যে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ ও শিহাব শাহীনের ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ মুক্তি পেয়েছে। ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রকল্পের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

পড়া চালিয়ে যান

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ