Connect with us

টালিউড

ফিল্মফেয়ারের মনোনয়নে জয়া-অপি-ফারিণ, আছেন আরো ৪ বাংলাদেশি

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

(বাঁ থেকে) জয়া আহসান, অপি করিম ও তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ফেসবুক)

ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলার সপ্তম আসরের মনোনয়ন তালিকা প্রকাশিত হলো। এতে বাংলাদেশের তিন অভিনেত্রী, একজন অভিনেতা ও একজন গায়ক স্থান পেয়েছেন। তাদের মধ্যে জয়া আহসান ‘দশম অবতার’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেত্রী এবং ‘অর্ধাঙ্গিনী’র সুবাদে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী শাখায় মনোনয়ন পেয়েছেন।

গত বছর ‘আরো এক পৃথিবী’র মাধ্যমে বড় পর্দায় নাম লেখান তাসনিয়া ফারিণ। সিনেমাটির সুবাদে এবারের ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলায় সেরা অভিনেত্রী (সমালোচক) এবং সেরা নবাগতা অভিনেত্রী শাখায় মনোনীত হয়েছেন তিনি।

তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ফেসবুক)

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ‘মায়ার জঞ্জাল’-এর মাধ্যমে ১৫ বছর পর বড় পর্দায় প্রত্যাবর্তন করেন অপি করিম। সিনেমাটির জন্য ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলায় সেরা অভিনেত্রী (সমালোচক) শাখায় মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। একই সিনেমার সুবাদে সেরা পার্শ্ব অভিনেতা শাখায় মনোনীত হয়েছেন সোহেল মণ্ডল। ‘মায়ার জঞ্জাল’ সেরা সিনেমা (সমালোচক) শাখায় জায়গা পাওয়ায় মনোনীত হয়েছেন প্রযোজক জসীম আহমেদ।

সোহেল মণ্ডল ও অপি করিম (ছবি: ফেসবুক)

ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলার সেরা গায়ক শাখায় ‘চিনি ২’ সিনেমার ‘তুমি জানতেই পারো না’ গানের জন্য মনোনীত হয়েছেন মাহতিম শাকিব। এটি ফিল্মফেয়ারে তার দ্বিতীয় মনোনয়ন। ২০২২ সালে তিনি প্রথমবার মনোনীত হন। তবে পুরস্কার জেতেননি।

‘অর্ধাঙ্গিনী’র সুবাদে সেরা পোশাক শাখায় কলকাতার সুলগ্ন চৌধুরীর সঙ্গে যৌথভাবে মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশের নিঘাত ইমন।

জয়া আহসান ও অপি করিম (ছবি: ফেসবুক)

ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলায় এ নিয়ে ৯টি মনোনয়ন পেলেন জয়া আহসান। এরমধ্যে ২০২২ সালে ‘বিনিসুতোয়’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেত্রী, ২০১৮ সালে ‘বিসর্জন’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেত্রী, ২০১৯ সালে ‘বিজয়া’ এবং ‘রবিবার’ সিনেমার সুবাদে সেরা অভিনেত্রী (সমালোচক) স্বীকৃতি পান জয়া আহসান।

জয়া আহসান (ছবি: ফেসবুক)

আগামী ২৯ মার্চ কলকাতার আইটিসি রয়েল বেঙ্গল হোটেলে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে সপ্তম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণ করা হবে।

তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ফেসবুক)

ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলা ২০২৪ মনোনয়ন তালিকা
সেরা সিনেমা
অর্ধাঙ্গিনী, বাঘা যতীন, দশম অবতার, কাবুলিওয়ালা, প্রধান, রক্তবীজ

সেরা সিনেমা (সমালোচক)
মায়ার জঞ্জাল (ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী), নীহারিকা (ইন্দ্রাশিস আচার্য), পালান (কৌশিক গাঙ্গুলী), শেষ পাতা (অতনু ঘোষ), শহরের উষ্ণতম দিনে (অরিত্র সেন)

সেরা অভিনেতা
অনির্বাণ চক্রবর্তী (দ্য একেন: রুদ্ধশ্বাস রাজস্থান), দেব (বাঘা যতীন), দেব (প্রধান), জিৎ (মানুষ), মিঠুন চক্রবর্তী (কাবুলিওয়ালা), পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (শিবপুর), প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (শেষ পাতা)

সেরা অভিনেতা (সমালোচক)
অঞ্জন দত্ত (পালান), মিঠুন চক্রবর্তী (কাবুলিওয়ালা), প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (শেষ পাতা), ঋত্বিক চক্রবর্তী (মায়ার জঞ্জাল), শিলাজিৎ মজুমদার (নীহারিকা), সুব্রত দত্ত (সমরেশ বসু-র প্রজাপতি)

‘দশম অবতার’ সিনেমায় জয়া আহসান ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (জিও স্টুডিওস)

সেরা অভিনেত্রী
চূর্ণী গাঙ্গুলী (অর্ধাঙ্গিনী), জয়া আহসান (দশম অবতার), কোয়েল মল্লিক (জঙ্গলে মিতিন মাসি), ঋতাভরী (ফাটাফাটি), শোলাঙ্কি রায় (শহরের উষ্ণতম দিনে), স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (শিবপুর)

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমায় ঋত্বিক চক্রবর্তী ও অপি করিম (ছবি: ভিউজ অ্যান্ড ভিশনস)

সেরা অভিনেত্রী (সমালোচক)
অনুরাধা মুখোপাধ্যায় (নীহারিকা), অপি করিম (মায়ার জঞ্জাল), গার্গী রায় চৌধুরী (শেষ পাতা), মমতা শঙ্কর (পালান), স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (শিবপুর), তাসনিয়া ফারিণ (আরো এক পৃথিবী)

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমার দৃশ্যে সোহেল মণ্ডল (ছবি: ফ্লিপবুক)

সেরা পার্শ্ব অভিনেতা
অম্বরীশ ভট্টাচার্য (অর্ধাঙ্গিনী), অনির্বাণ ভট্টাচার্য (দশম অবতার), অনির্বাণ চক্রবর্তী (প্রধান), যীশু সেনগুপ্ত (দশম অবতার), কৌশিক গাঙ্গুলী (আরো এক পৃথিবী), সোহেল মণ্ডল (মায়ার জঞ্জাল), বিক্রম চট্টোপাধ্যায় (শেষ পাতা)

‘অর্ধাঙ্গিনী’ সিনেমায় জয়া আহসান ও চূর্ণী গাঙ্গুলী (ছবি: সুরিন্দর ফিল্মস)

সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী
অনসূয়া মজুমদার (রক্তবীজ), অপরাজিতা আঢ্য (চিনি ২), জয়া আহসান (অর্ধাঙ্গিনী), মল্লিকা মজুমদার (নীহারিকা), শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (কাবেরী অন্তর্ধান)

সেরা পরিচালক
অরুণ রায় (বাঘা যতীন), অতনু ঘোষ (শেষ পাতা), অভিজিৎ সেন (প্রধান), কৌশিক গাঙ্গুলী (অর্ধাঙ্গিনী), নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (রক্তবীজ), সৃজিত মুখার্জি (দশম অবতার), সুমন ঘোষ (কাবুলিওয়ালা)

‘আরো এক পৃথিবী’ সিনেমার দৃশ্যে তাসনিয়া ফারিণ ও কৌশিক গাঙ্গুলি (ছবি: এসকে মুভিজ)

সেরা নবাগতা
সৌমিতৃষা কুন্ডু (প্রধান), শ্রীজা দত্ত (বাঘা যতীন), তাসনিয়া ফারিণ (আরো এক পৃথিবী)

সেরা নতুন পরিচালক
অরিত্র সেন (ঘরে ফেরার গান), পরমা নেওটিয়া (মিথ্যে প্রেমের গান), শ্রীজাত (মানবজমিন), সুমন্ত্র রায় (ঘাসজমি)

সেরা গায়ক
অনুপম রায় (গান: আমি সেই মানুষটা আর নেই, সিনেমা: দশম অবতার), অনুপম রায় (গান: ফিরে এসো, সিনেমা: প্রধান), অরিজিৎ সিং (গান: ভাবো যদি, সিনেমা: কাবুলিওয়ালা), অরিজিৎ সিং (গান: জিয়া তুই ছাড়া, সিনেমা: বিয়ে বিভ্রাট), ঈশান মিত্র ও রণজয় ভট্টাচার্য (গান: নীরবতায় ছিলো, সিনেমা: মিথ্যে প্রেমের গান), মাহতিম শাকিব (গান: তুমি জানতেই পারো না, সিনেমা: চিনি ২), রুপম ইসলাম (গান: শেষ বলে কিছু আছে কি, সিনেমা: শেষ পাতা),

সেরা গায়িকা
অবর্ণ রায় (গান: মলয় বাতাসে, সিনেমা: নীহারিকা), অন্তরা মিত্র (গান: জানি অকারণ, সিনেমা: ফাটাফাটি), অন্তরা নন্দী ও অঙ্কিতা নন্দী (গান: নাক্কু নাকুড় না যাও ঠাকুর, সিনেমা: রক্তবীজ), ইমন চক্রবর্তী (গান: আলাদা আলাদা, সিনেমা: অর্ধাঙ্গিনী)

সেরা গানের অ্যালবাম
অর্ধাঙ্গিনী (অনুপম রায়), দশম অবতার (অনুপম রায়), ইন্দ্রদীপ দাসগুপ্ত (কাবুলিওয়ালা), মায়াকুমারী (বিক্রম ঘোষ), মিথ্যে প্রেমের গান (কুন্তল দে, রণজয় ভট্টাচার্য, সৌম্য ঋত), শহরের উষ্ণতম দিনে (নবারুণ বোস ও আকাশ চক্রবর্তী)

সেরা গীতিকবি
অনুপম রায় (গান: আমি সেই মানুষটা আর নেই, সিনেমা: দশম অবতার), অনুপম রায় (গান: আলাদা আলাদা, সিনেমা: অর্ধাঙ্গিনী), অরিত্র সেনগুপ্ত ও রণজয় ভট্টাচার্য (গান: নীরবতায় ছিলো, সিনেমা: মিথ্যে প্রেমের গান), কৌশিক গাঙ্গুলী (গান: আমি আর ও, সিনেমা: পালান), রিতাম সেন (গান: জানি অকারণ, সিনেমা: ফাটাফাটি)

সেরা আবহ সংগীত
অমিত চট্টোপাধ্যায় (অর্ধাঙ্গিনী), দেবজ্যোতি মিশ্র (শেষ পাতা), ইন্দ্রদীপ দাসগুপ্ত (দশম অবতার), ইন্দ্রদীপ দাসগুপ্ত (কাবুলিওয়ালা), জয় সরকার (নীহারিকা), নীলায়ন চট্টোপাধ্যায় (বাঘা যতীন), সন্তজিৎ চট্টোপাধ্যায় (ঘাসজমি)

সেরা মৌলিক গল্প
অতনু ঘোষ (শেষ পাতা), কৌশিক গাঙ্গুলী (অর্ধাঙ্গিনী), কৌশিক গাঙ্গুলী (কাবেরী অন্তর্ধান), নন্দিতা রায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও জিনিয়া সেন (রক্তবীজ)

সেরা চিত্রনাট্য
অতনু ঘোষ (শেষ পাতা), ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী ও সুগত সিনহা (মায়ার জঞ্জাল), সৃজিত মুখার্জি (দশম অবতার), জিনিয়া সেন ও শর্বরী ঘোষাল (রক্তবীজ)

সেরা সংলাপ
অতনু ঘোষ (শেষ পাতা), কৌশিক গাঙ্গুলী (অর্ধাঙ্গিনী), শ্রীজীব (কাবুলিওয়ালা), সৃজিত মুখার্জি (দশম অবতার), জিনিয়া সেন ও শর্বরী ঘোষাল (রক্তবীজ)

সেরা সিনেমা সম্পাদনা
আমির মণ্ডল (সমরেশ বসু-র প্রজাপতি), মলয় লাহা (রক্তবীজ), প্রণয় দাসগুপ্ত (দশম অবতার), সুজয় দত্ত রায় (শেষ পাতা), সুমন্ত্র রায় (ঘাসজমি), সুমিত ঘোষ (মায়ার জঞ্জাল)

সেরা শব্দ বিন্যাস
অমিত কুমার দত্ত (বাঘা যতীন), অনিন্দিতা রায় ও আদীপ সিং ম্যাঙ্কি (শেষ পাতা), অনিন্দিতা রায় ও আদীপ সিং ম্যাঙ্কি (দশম অবতার), দীপঙ্কর চাকি (রক্তবীজ), শুভদীপ সেনগুপ্ত (মায়ার জঞ্জাল), সুকান্ত মজুমদার (নীহারিকা)

সেরা চিত্রগ্রহণ
ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায় (মায়ার জঞ্জাল), প্রতীপ মুখোপাধ্যায় (রক্তবীজ), রানা প্রতাপ করফর্মা (ঘাসজমি), শান্তনু দে (নীহারিকা), সৌমিক হালদার (দশম অবতার), সৌমিক হালদার (শেষ পাতা), শুভঙ্কর ভর (কাবুলিওয়ালা)

সেরা শিল্প নির্দেশনা
বাবলু সিংহ (বাঘা যতীন), গৌতম বসু (শেষ পাতা), কৌশিক দাস (মায়ার জঞ্জাল), নাফিসা আলি খাতুন (রক্তবীজ), শিবাজি পাল (দশম অবতার), তন্ময় চক্রবর্তী (কাবুলিওয়ালা), তন্ময় চক্রবর্তী (পালান)

সেরা পোশাক
জয়ন্তী সেন (বাঘা যতীন), ঋতারুপা ভট্টাচার্য (মায়ার জঞ্জাল), সঞ্চিতা ভট্টাচার্য (বগলা মামা যুগ যুগ জিও), সুলগ্ন চৌধুরী ও নিঘাত ইমন (অর্ধাঙ্গিনী)

টালিউড

বাংলা সিনেমায় বলিউডের চন্দনের বিপরীতে জয়া, পরিচালনায় অনিরুদ্ধ

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

জয়া আহসান (ছবি: ফেসবুক)

ওপার বাংলার আরেকটি সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন নন্দিত তারকা জয়া আহসান। এর নাম ‘ডিয়ার মা’। এতে নাম ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। এটি পরিচালনা করবেন ‘পিঙ্ক’ খ্যাত অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী। তার সঙ্গে ‘কড়ক সিং’ সিনেমায় কাজ করেছেন জয়া। এর মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশের এই অভিনেত্রীর।

‘ডিয়ার মা’তে জয়ার স্বামীর ভূমিকায় অভিনয় করবেন চন্দন রায় স্যান্যাল। বলিউডে আমির খানের ‘রঙ দে বাসন্তী’, শহিদ কাপুরের ‘কামিনে’, ঐশ্বরিয়া রাইয়ের ‘জাজবা’, শাহরুখ খানের ‘জব হ্যারি মেট সেজাল’সহ বেশ কিছু সিনেমায় দেখা গেছে ৪৪ বছর বয়সী এই তারকাকে।

চন্দন রায় সান্যাল (ছবি: ফেসবুক)

নতুন সিনেমার খবর জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জয়া লিখেছেন, ‘কড়ক সিং-এর পর দ্বিতীয়বার আমাকে এমন সুযোগ দেওয়ায় অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা! চন্দন রায় সান্যাল, ধৃতিমান চ্যাটার্জি, শাশ্বত চ্যাটার্জি, অনুভা ফতেপুরিয়া, পদ্মপ্রিয়া এবং অন্যান্যদের মতো সেরা অভিনেতাদের সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নিতে মুখিয়ে আছি! শিগগিরই শুটিং শুরু হবে।’

অনিরুদ্ধর পরিচালনায় এর আগে ‘অপরাজিতা তুমি’ (২০১২) সিনেমায় অভিনয় করেছেন চন্দন রায় স্যান্যাল। সেই সিনেমার নায়িকা তামিল-মালায়লাম তারকা পদ্মপ্রিয়া থাকছেন ‘ডিয়ার মা’তে। গৃহকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করবেন অনুভা ফতেপুরিয়া। কিছুদিন আগে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তেরি বাতো মে অ্যায়সা উলঝা জিয়া’য় শহিদ কাপুরের মায়ের ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। এটাই হবে বাংলা সিনেমায় তার প্রথম কাজ।

জয়া আহসান (ছবি: ফেসবুক)

‘ডিয়ার মা’তে বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করবেন শাশ্বত চ্যাটার্জি। শিক্ষকের ভূমিকায় পর্দায় আসবেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে শুরু হচ্ছে শুটিং। চিত্রগ্রহণ করবেন অভীক মুখোপাধ্যায়।

পরিবারে বাবা, মা ও সন্তানের মধ্যকার বন্ধনের অন্য রূপ তুলে ধরা হবে গল্পে। কাহিনিতে থ্রিলারের ছোঁয়া থাকবে। ঝিমলি নামের একটি মেয়ের ৫ ও ১২ বছর বয়সের ঘটনা দেখা যাবে এতে। ‘ডিয়ার মা’-এর গল্প লিখেছেন অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী ও শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।

অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

‘ডিয়ার মা’-এর মাধ্যমে প্রায় ১০ বছর পর বাংলা সিনেমা পরিচালনা করছেন ৫৯ বছর বয়সী অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ‘বুনোহাঁস’ (দেব, শ্রাবন্তী) বানিয়েছিলেন তিনি।

পড়া চালিয়ে যান

টালিউড

কলকাতায় ক্যাবচালকের মেয়ের নাম তাসনিয়া ফারিণ

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

ফিল্মফেয়ারের ব্ল্যাক লেডি হাতে তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ফিল্মফেয়ার)

অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ এখন দুই বাংলাতেই জনপ্রিয়। তাকে নিয়ে এপারের পাশাপাশি ওপারে সবশ্রেণির দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ। তার প্রতি ভালো লাগা থেকে ওপার বাংলায় একজন ক্যাবচালক নিজের মেয়ের নাম বদলে ফেলেছেন!

ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলার সপ্তম আসরে সেরা নবাগতা অভিনেত্রী শাখায় পুরস্কার জিতেছেন তাসনিয়া ফারিণ। মর্যাদাসম্পন্ন ব্ল্যাক লেডি গ্রহণ করতে কলকাতায় গিয়ে চমকে যাওয়ার মতো অভিজ্ঞতা হলো তার। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওর মাধ্যমে তিনি নিজেই ঘটনাটি জানিয়েছেন। এতে একজন ক্যাবচালকের সঙ্গে তার কথোপকথন রয়েছে।

ভিডিওতে ক্যাবচালক রাকিব জানান, তার মেয়ের নাম তাসনিয়া ফারিণ! তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে সে। এখন তার বয়স সাড়ে আট বছর। শুরুতে মেয়েটির নাম রাখা হয় রাফিয়া সুলতানা। হঠাৎ তাসনিয়া ফারিণের অনুরাগী হয়ে পড়েন রাকিব। সেজন্য তিনি মেয়ের নাম রাখেন তাসনিয়া ফারিণ।

ক্যাবচালক রাকিব জানান, অপূর্বের সঙ্গে ফারিণের অভিনয় সবচেয়ে ভালো লাগে তার।

ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসের মঞ্চে মনামি ঘোষ ও তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ফিল্মফেয়ার)

ভিডিওটি শেয়ার করে তাসনিয়া ফারিণ লিখেছেন, ‘সবকিছু ছাপিয়ে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন দর্শকদের ভালোবাসা। অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীর সঙ্গে দেখা হয়, কিন্তু আজ এমন একজনের সঙ্গে দেখা হলো যিনি নিজের মেয়ের নাম পরিবর্তন করে আমার নামে নাম রেখেছেন। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে এমন ভালোবাসা আমাকে সত্যিই অনেক আপ্লুত করে। চিরকৃতজ্ঞ।’

তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ফেসবুক)

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলমেন’ (জিফাইভ) ও সৈয়দ আহমেদ শাওকীর ‘কারাগার’ (হইচই) ওয়েব সিরিজের সুবাদে পশ্চিমবঙ্গে পরিচিতি পান তিনি। এরপর অতনু ঘোষের ‘আরো এক পৃথিবী’র মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। সিনেমাটি তাকে এনে দিয়েছে প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার।

তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

সম্প্রতি চরকিতে মুক্তি পাওয়া তাসনিয়া ফারিণের ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। শিহাব শাহীনের পরিচালনায় এতে সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসানের বিপরীতে দেখা গেছে তাকে।

পড়া চালিয়ে যান

টালিউড

সোহেল মণ্ডলের ঘরে ফিল্মফেয়ারের ব্ল্যাক লেডি

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমার দৃশ্যে সোহেল মণ্ডল (ছবি: ফ্লিপবুক)

ভারতের মর্যাদাসম্পন্ন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলার সপ্তম আসরে সেরা নবাগত অভিনেতা শাখায় পুরস্কার জিতলেন বাংলাদেশের সোহেল মণ্ডল। দুই বাংলার যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমার জন্য ভারতের ফিল্মফেয়ার ম্যাগাজিনের কাছ থেকে এই স্বীকৃতি পেলেন তিনি।

গতকাল (২৯ মার্চ) রাতে কলকাতার আইটিসি রয়েল বেঙ্গল হোটেলে বিজয়ী হিসেবে সোহেল মণ্ডলের নাম ঘোষণা করা হয়। তবে অনুষ্ঠানে ছিলেন না তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুখবরটি জানিয়ে পরিচালক ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী ও ‘মায়ার জঞ্জাল’ টিমকে ধন্যবাদ দিয়েছেন এই অভিনেতা। তার কথায়, ‘ব্ল্যাক লেডি ঘরে আসছে। আমার সহকর্মী, বন্ধু ও থিয়েটার কমিউনিটির সবাইকে পুরস্কারটি উৎসর্গ করছি। সিনেমার চাইতেও জীবন অনেক নাটকীয়।’

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে একসঙ্গে মুক্তি পায় ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী পরিচালিত ‘মায়ার জঞ্জাল’। এর মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় সোহেল মণ্ডলের। এতে সত্য চরিত্রে দেখা গেছে তাকে।

এবারের ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলায় সেরা পার্শ্ব অভিনেতা শাখাতেও মনোনয়ন পান সোহেল মণ্ডল। তবে যৌথভাবে এই পুরস্কার জিতেছেন অম্বরীশ ভট্টাচার্য (অর্ধাঙ্গিনী) ও কৌশিক গাঙ্গুলী (আরো এক পৃথিবী)। একই শাখায় মনোনীত অন্য চারজন হলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য (দশম অবতার), অনির্বাণ চক্রবর্তী (প্রধান), যীশু সেনগুপ্ত (দশম অবতার), বিক্রম চট্টোপাধ্যায় (শেষ পাতা)।

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমায় চান্দ্রেয়ী ঘোষ ও সোহেল মণ্ডল (ছবি: ভিউজ অ্যান্ড ভিশনস)

সমালোচকদের বিচারে সেরা সিনেমা হয়েছে ‘মায়ার জঞ্জাল’। এটি সর্বাধিক সাতটি শাখায় পুরস্কার জিতেছে। বাকি পাঁচটি স্বীকৃতি হলো সেরা চিত্রনাট্য (ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী ও সুগত সিনহা), সেরা সিনেমা সম্পাদনা (সুমিত ঘোষ), সেরা শব্দ বিন্যাস (শুভদীপ সেনগুপ্ত), সেরা চিত্রগ্রহণ (ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায়), সেরা পোশাক পরিকল্পনা (ঋতারুপা ভট্টাচার্য) শাখাতেও পুরস্কার পেয়েছে। সমালোচকদের বিচারে যৌথভাবে সেরা সিনেমা হয়েছে ওপার বাংলার ‘নীহারিকা’।

সোহেল মণ্ডল ও অপি করিম (ছবি: ফেসবুক)

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমার মাধ্যমে ১৯ বছর পর বড় পর্দায় ফিরেছেন অভিনেত্রী অপি করিম। এবারের ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলায় সেরা অভিনেত্রী (সমালোচক) শাখায় মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। একই শাখায় ‘আরো এক পৃথিবী’র জন্য বাংলাদেশের আরেক অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ মনোনীত হয়েছেন। তবে পুরস্কারটি জিতেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (শিবপুর)। তবে খালি হাতে ফেরেননি তাসনিয়া ফারিণ। সেরা নবাগতা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন তিনি।

(বাঁ থেকে) সোহেল মণ্ডল, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, ঋত্বিক চক্রবর্তী ও ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমায় অপি করিমের সহশিল্পী ওপার বাংলার অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। সেরা অভিনেতা (সমালোচক) শাখায় মনোনীত হয়েছেন তিনি। তবে পুরস্কারটি জিতেছেন মিঠুন চক্রবর্তী (কাবুলিওয়ালা)।

চীনের মর্যাদাসম্পন্ন সাংহাই আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এশিয়ান নিউ ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ডের অফিসিয়াল সিলেকশনে ‘মায়ার জঞ্জাল’-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এরপর মস্কো, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, লন্ডন ও ঢাকার বিভিন্ন উৎসবে অংশ নিয়ে পুরস্কার পেয়েছে এটি। বাংলাদেশের প্রযোজক জসীম আহমেদের প্রতিষ্ঠান ভিউজ অ্যান্ড ভিশনস এবং ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীর প্রতিষ্ঠান ফ্লিপবুক যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে এই সিনেমা।

পড়া চালিয়ে যান

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ