Connect with us

টেলিভিশন

শিশু-কিশোর প্রতিভার খোঁজে বিটিভির ‘নবস্পন্দন’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘নবস্পন্দন’ প্রতিযোগিতার লোগো (ছবি: বিটিভি)

দেশব্যাপী শিশু-কিশোর প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ‘নবস্পন্দন’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশু-কিশোররা সংগীত, নৃত্য ও অভিনয়ে প্রতিযোগিতা করতে পারবে। একজন প্রতিযোগী একাধিক বিষয়ে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ও তৃতীয় লিঙ্গের শিশু-কিশোররাও প্রতিযোগিতায় থাকতে পারবে।

গত ১৯ অক্টোবর বিটিভির সদর দফতরের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিটিভির মহাপরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর উদ্যোগ ও দিকনির্দেশনায় বিটিভিতে শুরু হতে যাচ্ছে ‘নবস্পন্দন’। এজন্য একটি থিম সং নির্মাণ করা হয়েছে। বিটিভিতে এর একটি টিজারের প্রচার শুরু হয়েছে। মহাপরিচালকের আশা, ‘নবস্পন্দন’ শিশু-কিশোরদের প্রতিভা বিকাশে সহায়ক হবে।

‘নবস্পন্দন’ প্রতিযোগিতার সংবাদ সম্মেলন (ছবি: বিটিভি)

প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে অনলাইনে (http://btvns.teletalk.com.bd)। আবেদনপত্র পূরণ ও জমাদান শুরু হবে ৩০ অক্টোবর। চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিযোগিতায় প্রতিটি বিষয়ে অংশগ্রহণের জন্য জনপ্রতি ১১২ টাকা টেলিটকের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিটিভির ওয়েবসাইটে (www.btv.gov.bd) পাওয়া যাবে। প্রাথমিক পর্বের অডিশন হবে বিভাগীয় পর্যায়ে। প্রাথমিক পর্বে উত্তীর্ণরা জাতীয় পর্যায়ে ঢাকায় চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ারের হাত ধরে ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে শুরু হয়েছিল শিশুশিল্পীদের জন্য প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ‘নতুন কুঁড়ি’। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে নতুন আঙ্গিকে এর কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘদিন পর বিটিভি আবার শুরু করতে যাচ্ছে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ‘নবস্পন্দন’।

টেলিভিশন

যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ফোরে ও সিডনি উৎসবে ফারুকীর ‘অটোবায়োগ্রাফি’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র পোস্টারে নুসরাত ইমরোজ তিশা, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল (ছবি: চরকি)

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ দেখাবে যুক্তরাজ্যভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল ফোর। আগামী জুন থেকে শুরু হওয়া অধিবেশনে প্রচার হবে এটি।

চ্যানেল ফোরে প্রথম বাংলাদেশি সিনেমা হিসেবে প্রদর্শিত হয় তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’। এরপর তারেক মাসুদের আরো দুটি বাংলা সিনেমা দেখা গেছে এতে।

এদিকে অস্ট্রেলিয়ার মর্যাদাপূর্ণ সিডনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। আগামী ৫ জুন শুরু হওয়া এই উৎসব চলবে ১২ দিনব্যাপী। এতে ফারুকীর সঙ্গে অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ও প্রযোজক রেদওয়ান রনির অংশ নিতে যাওয়ার কথা রয়েছে।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী (ছবি: ফেসবুক)

পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “ফিল্মমেকার হিসেবে ঈদের ডাবল আনন্দ হিসেবে এসেছে দুটি খবর। ঈদে চরকিতে মুক্তি পাওয়া ‘মনোগামী’ নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে। আমার ‘ব্যাচেলর’ মুক্তির পর এমন প্রতিক্রিয়া দেখেছিলাম। দর্শকদের এই অংশগ্রহণে আমি খুবই আনন্দিত। এর সঙ্গে যুক্ত হলো ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র খবর দুটি। চ্যানেল ফোর যুক্তরাজ্যের প্রথম সারির টেলিভিশন। সিডনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অস্ট্রেলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। সব মিলিয়ে আমি কৃতজ্ঞ। যারা ‘মনোগামী’ দেখেছেন কিন্তু ‘অটোবায়োগ্রাফি’ দেখেননি, তাদের আমন্ত্রণ জানাই চরকিতে দেখে ফেলার।”

‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র দৃশ্যে নুসরাত ইমরোজ তিশা (ছবি: চরকি)

‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র অভিনেত্রী ও চিত্রনাট্যকার নুসরাত ইমরোজ তিশা বলেন, “দর্শকদের কাছ থেকে ‘অটোবায়োগ্রাফি’র জন্য ভালোবাসা পেয়েছি এবং এখনও পাচ্ছি, এগুলো অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমার জন্য খুবই অনুপ্রেরণার। কিছু কাজ মানুষের মনের ভেতরে গিয়ে স্পর্শ করে। এটি তেমন একটি কাজ। দর্শকদের ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।”

গত বছর বুসান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ২৮তম আসরে নির্বাচিত হয় ‘অটোবায়োগ্রাফি’। উৎসবের কিম জিসোক প্রতিযোগিতা শাখায় এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এটি। এরপর মুম্বাইয়ের জিও মামি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘অটোবায়োগ্রাফি’ দেখানো হয় সাউথ এশিয়ান আইকন শাখায়।

‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র দৃশ্যে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশা (ছবি: চরকি)

চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, ‘চরকি সবসময় বিশ্বমানের সিনেমা ও সিরিজ নির্মাণের চেষ্টা করে। আমরা খুবই আনন্দিত চ্যানেল ফোর আমাদের ওয়েব ফিল্ম আন্তর্জাতিক দর্শকদের কাছে প্রদর্শনের জন্য বেছে নিয়েছে। এটি দেশের নির্মাতা ও শিল্পীদের জন্য গৌরবের। একইসঙ্গে এর মাধ্যমে বিশ্ববাজারে চরকির ভালো অবস্থান তৈরির প্রমাণ পাওয়া গেলো।’

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর প্রতিষ্ঠান ছবিয়ালের প্রযোজনা ‘অটোবায়োগ্রাফি’ এবং ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’ হলো চরকির ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রকল্পের অংশ। এর আওতায় রয়েছে ১২টি ওয়েব ফিল্ম। ফারুকীর ওয়েব ফিল্ম দুটির পাশাপাশি শিহাব শাহীনের ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ মুক্তি পেয়েছে চরকিতে। ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রকল্পের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন ফারুকী।

পড়া চালিয়ে যান

টেলিভিশন

আদনান আল রাজীবের নির্দেশনায় নিপুন-এলিটা দম্পতির অভিনয়

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

(বাঁ থেকে) আদনান আল রাজীব, আশফাক নিপুন ও এলিটা করিম (ছবি: ফেসবুক)

‘মহানগর’ ওয়েব সিরিজের নির্মাতা আশফাক নিপুন ও সংগীতশিল্পী এলিটা করিম দম্পতি প্রথমবার একসঙ্গে অভিনয় করলেন। একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকাতেই দেখা যাবে তাদের। এটি বার্জার রঙের। এর শুটিং হয়েছে ঢাকায়।

বিজ্ঞাপনচিত্রটি নির্মাণ করেছেন আদনান আল রাজীব। তিনি ও আশফাক নিপুন ছিলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ছবিয়ালের সহকারী।

পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়ে ও মডেল হিসেবে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন আশফাক নিপুন। অন্যদিকে গান ও সাংবাদিকতার ফাঁকে টুকটাক অভিনয়ে দেখা গেছে এলিটাকে। ২০১০ সালে আশফাক নিপুণের পরিচালনায় ‘মুকিম ব্রাদার্স’ ধারাবাহিক নাটকে প্রথমবার অভিনয় করেন তিনি। এতে অতিথি চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। ২০১৪ সালে ‘ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প’র ‘হোয়াই সো সিরিয়াস’-এ নিপুনের পরিচালনায় অভিনয় করেন এলিটা। ১০ বছর পর বিজ্ঞাপনচিত্রের মাধ্যমে আবার জুটি বাঁধলেন তারা। এবার দুই জনই থাকছেন পর্দার সামনে।

আদনান আল রাজীবের পরিচালনায় ১০ বছর আগে ‘মিডল ক্লাস সেন্টিমেন্ট’ নাটকে অভিনয় করেন নিপুন। এবার মডেল হলেন তিনি।

(বাঁ থেকে) আদনান আল রাজীব, আশফাক নিপুন ও এলিটা করিম (ছবি: ফেসবুক)

২০১৫ সালে ভালোবেসে ঘর বাঁধেন আশফাক নিপুন ও এলিটা করিম। তাদের ব্যাপারে আদনান আল রাজীব বলেন, ‘সবাই জানে আশফাক নিপুন সাবলীল ও প্রাণচঞ্চল। যতটা দেখেছি তাতে মনে হয়েছে, পর্দার সামনে থাকতে ভালোই লাগে তার এবং অভিনয়ে কখনও সংকোচ বোধ করে না। কিন্তু এলিটা করিমকে কতজন জানে! তার সঙ্গে প্রথম দেখা থেকেই কাজ করার সুপ্ত ইচ্ছে ছিলো আমার। তিনি সহজাত প্রতিভাবান এবং পর্দায় অনেক অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে পারেন। অবশেষে তাদের একসঙ্গে মডেল করার সুযোগ পেয়েছি! কী চমৎকার না?’

এটাই মডেল হিসেবে এলিটার প্রথম কাজ। প্রথমবার আদনান আল রাজীবের নির্দেশনায় কাজ করলেন তিনি। ঈদের পরপরই বিজ্ঞাপনচিত্রটি প্রচারে আসবে।

পড়া চালিয়ে যান

টেলিভিশন

‘আনন্দমেলা’য় রুনা লায়লার গান, সঞ্চালক নুসরাত ফারিয়া

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

রুনা লায়লা (ছবি: বিটিভি)

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গায়িকা রুনা লায়লা প্রথমবার বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) ঈদের ‘আনন্দমেলা’য় গান গাইলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। তারা একসঙ্গে বসে কিছুক্ষণ আড্ডাও দিয়েছেন।

রুনা লায়লার গাওয়া নতুন গানটির শিরোনাম ‘চলো গানে গানে গড়ি নতুন পৃথিবী’। তিনি একা নন, এতে তার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন দিলশাদ নাহার কনা, ইমরান মাহমুদুল, ঝিলিক ও সাব্বির। এর কথা লিখেছেন আনজির লিটন, সুর করেছেন আশরাফ বাবু।

নুসরাত ফারিয়া ও রুনা লায়লা (ছবি: বিটিভি)

প্রযোজক মনিরুল হাসান ও ইয়াসির আরাফাত জানান, বাঙালি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে এবারের ‘আনন্দমেলা’য় থাকছে শত বাউলের অংশগ্রহণে তিনটি বাউল গানের কোলাজ নিয়ে একটি পরিবেশনা। এছাড়া আছে ইসলাম বাউলের কণ্ঠে একটি পালাগান।

(বাঁ থেকে) সাব্বির, দিলশাদ নাহার কনা, নুসরাত ফারিয়া, রুনা লায়লা, ইমরান মাহমুদুল ও ঝিলিক (ছবি: বিটিভি)

অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় গানের তালে নেচেছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী তানজিন তিশা ও চিত্রনায়ক জিয়াউল রোশান। সাত নৃত্যগুরুর সঙ্গে নাচে অংশ নিয়েছেন তাদের দুইজন করে শিষ্য। জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পীদের অংশগ্রহণে নৃত্য এবং পুতুলনাচ রয়েছে। ব্যান্ডসংগীত পরিবেশন করেছেন বিভিন্ন ব্যান্ডের সংগীতশিল্পীরা। এছাড়া নাট্যাংশে অংশ নিয়েছেন নাটকের খ্যাতিমান অভিনয়শিল্পীরা।

জিয়াউল রোশান ও তানজিন তিশা (ছবি: বিটিভি)

ঈদের দিন রাত ১০টার ইংরেজি সংবাদের পর বিটিভিতে প্রচার হবে ‘আনন্দমেলা’।

পড়া চালিয়ে যান

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ